Comment

সূরা বাকারাহ ফজিলত, বরকত ও রহমত

সূরা বাকারাহ হল পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় এবং দীর্ঘতম সূরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং ২৮৬টি আয়াত নিয়ে গঠিত। এই সূরায় রয়েছে অসীম ফজিলত, রহমত ও বরকত, যা হাদিস ও ইসলামী স্কলাররা বিশদভাবে আলোচিত করেছেন।


সূরা বাকারাহ নিয়মিত তিলাওয়াত করলে মুমিনের জীবনে আল্লাহর বিশেষ রহমত নাজিল হয়। এটি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হিফাজত করে এবং রিজিকে বরকত বৃদ্ধি পায়। শয়তানের জাদু খারাপ জিনিস কিংবা এমন কিছু যা ক্ষতি করে এই সব থেকে এই সূরা হেফাজত করে


আরও পড়ুন: সূরা আল আন-আমের ফজিলত, বরকত ও রহমত


রাসুল সাঃ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। তোমাদের ঘরসমূহকে তোমরা কবর বানাবে না।(১) নিশ্চয় যে ঘরে সূরাহ বাক্বারাহ পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। যে ব্যাক্তি সূরা বাকারাহ পাঠ করল সে যেন আল্লাহর রহমত পেল। কোনো ঘরে এই সূরা পাঠ করা হলে শয়তান সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

সূরা আল আন-আমের ফজিলত, বরকত ও রহমত


এই সূরায় এতটাই ফজিলত আছে যে ব্যক্তি সূরা বাকারাহ নিয়মিত ঘরের মধ্যে পাঠ করে ঘর শয়তান দূরে চলে যায়। যে বাড়িতে সূরা বাকারাহ পাঠ করা হয়, সেখানে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না - এটি জিন-শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে। এছাড়া যে ব্যক্তি সূরা বাকারাহ নিয়মিত পাঠ করবে তাকে কেয়ামতের দিন মেঘের মতো ছায়া দেওয়া হবে।



তোমরা সূরা বাকারাহ পাঠ করো, কেননা এটি বরকতময়। যে ব্যক্তি এটি পাঠ করে, শয়তান তার ঘর ছেড়ে চলে যায়। যে ব্যক্তি এটি তিলাওয়াত করে না, শয়তান তার ঘরে প্রবেশ করে না। কোন কিংবা বাড়ি কে থেকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করতে সূরা বাকারার কোন বিকল্প নেই।


আরও পড়ুন : সূরা মায়েদার ফজিলত, বরকত ও রহমত


সূরা বাকারাহ পাঠ করলে জীবনে বরকত বৃদ্ধি পায়। আর যে পাঠ করা ছেড়ে দিল তার জীবনে কষ্ট নেমে আসে,যা তার জীবন কে অত্যান্ত কষ্ট দায়ক করে তুলে - এটি দুর্ভাগ্য, অভাব-অনটন ও অশান্তি দূর করে।



সূরা বাকারাহ শেষ দুই আয়াত পাঠ নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি কে আল্লাহ পাক মেরাজের রাতে হাদিয়া সুরূপ দিয়েছেন। আয়াতুল কুরসি হল সূরা বাকারাহর সবচেয়ে মহিমান্বিত আয়াত। সূরা বাকারাহর মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, তা হলো আয়াতুল কুরসি। যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা বাকারাহ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তার রিজিকে প্রশস্ত করেন।



এটি দারিদ্র্য দূর করে এবং জীবনে সুখ-শান্তি আনে। কুরআন তিলাওয়াও ইবাদত। সূরা বাকারাহ পাঠ করলে গুনাহ মাফ হয় এবং নেকি বৃদ্ধি পায়। সূরা বাকারাহ বিশেষ করে আয়াতুল কুরসি এবং শেষ তিন আয়াত জাদু-টোনা, হাসাদ ও নজর-দোষ থেকে হিফাজত করে।


আরও পড়ুন : হেদায়েত কিভাবে আসে


যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা বাকারাহ পাঠ করে, তার মৃত্যুর সময় ঈমানের সাথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সুযোগ হয়।  সূরা বাকারাহ শেষ আয়াত দুটি দুঃখ-কষ্ট, ভয় ও রোগ-শোক থেকে মুক্তি দেয়। এটি ঈমানকে মজবুত করে এবং আল্লাহর রহমত লাভের মাধ্যম।



সূরা বাকারাহ হল কুরআনের একটি অত্যন্ত বরকতময় সূরা, যা মুমিনের জীবনে শান্তি, রহমত ও বরকত বয়ে আনে। এটি শয়তান থেকে সুরক্ষা দেয়, রিজিকে প্রশস্ত করে এবং গুনাহ মাফের কারণ হয়। তাই আমাদের উচিত।



নিয়মিত এই সূরার তিলাওয়াত করা এবং এর আমল জীবনে বাস্তবায়ন করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সূরা বাকারাহর ফজিলত, রহমত ও বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। আমীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ