মুখের ঘা একটি সাধারণ সমস্যা, যা প্রায় সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে experience করে। এটি ছোট, ব্যথাযুক্ত ক্ষত যা মুখের ভিতরের অংশে (গালের ভিতর, জিহ্বা, মাড়ি বা ঠোঁটে) দেখা দেয়। যদিও বেশিরভাগ মুখের ঘা নিজে নিজেই সেরে যায়, তবে এটি খাওয়া-দাওয়া ও কথা বলতে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন : দোয়া কবুলের পদ্ধতি
মুখে ঘা হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন,আঘাত বা ট্রমা,পুষ্টির ঘাটতি হরমোনাল
পরিবর্তন,মাসিকের সময় বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্য, সংক্রমণের কারণেও মুখে ঘা হয়।
মুখে ঘার লক্ষণ।
- মুখের ভিতরে সাদা, হলুদ বা লাল রঙের গোলাকার ক্ষত
- খাবার বা লালা লাগলে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা
- কথা বলতে বা চিবোতে কষ্ট
- কিছু ক্ষেত্রে জ্বর বা গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া
মুখে ঘা সারানোর ঘরোয়া পদ্ধতি হলো লবণ পানি দিয়ে কুলি করা। সাধারণত এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার কুলি করুন। এটি ব্যবহার করলে উপকার হবে যেমন লবণ জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং ঘা শুকাতে সাহায্য করে। এছাড়া বেকিং সোডার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঘায়ে লাগান। এটি অ্যাসিড নিউট্রালাইজ করে এবং ব্যথা কমায়।
আরও পড়ুন : গালাগালির শাস্তি
মধুর সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে ঘায়ে লাগান। মধু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং হলুদ প্রদাহ কমায়। এছাড়া নারকেল তেল সরাসরি ঘায়ে লাগান অথবা নারকেল দুধ দিয়ে কুলি করুন। নারকেল তেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। তাজা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ঘায়ে লাগান। এটি ঠান্ডা ও নিরাময়ের গুণসম্পন্ন।
আরও পড়ুন : রিজিক বৃদ্ধি ও আর্থিক সচ্ছলতার দোয়া
মুখে ঘার জন্য ওষুধ।যদি ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়, তবে নিম্নলিখিত ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে,যেমন - টপিকাল জেল ক্রিম, মাউথওয়াশ, ব্যথানাশক ওষুধ, ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি।
নিচের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
✅ ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘা না সারা
✅ ঘা ক্রমাগত বড় হওয়া বা সংখ্যায় বাড়া
✅ জ্বর, ওজন কমা বা গিলতে কষ্ট
✅ মুখের বাইরেও ঘা ছড়ানো
মুখে ঘা প্রতিরোধের উপায়।
- নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখুন (নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করুন)।
- অতিরিক্ত গরম বা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন।
- ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার (শাকসবজি, ফল, দুধ) খান।
মুখের ঘা একটি সাধারণ সমস্যা, তবে সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা না নিলে এটি বিরক্তিকর হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়েই এটি সেরে যায়, তবে দীর্ঘস্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সচেতন থাকুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
0 মন্তব্যসমূহ