যোহরের নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ নামাজ এই নামাজ দারিদ্র্যতার দূর করতে সহায়তা করে অন্যান্য নামাজের মধ্যে যোহরের নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি দিনের দ্বিতীয় নামাজ, যা সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর থেকে শুরু হয়ে প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। যোহরের নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং এটি দিনের ব্যস্ততার মাঝে আল্লাহর স্মরণে বিরতি নেওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
আরও পড়ুন : ফজরের নামাজের ফজিলত
কুরআনে যোহরের নামাজের কতটা গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালা কুরআনে নামাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সূরা রূমে আল্লাহ বলেন,"অতএব, তোমরা আল্লাহর তাসবিহ (প্রশংসা) পাঠ করো সকালে ও সন্ধ্যায়। আর আসমান ও জমিনে তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা, বিকালে ও যখন তোমরা দুপুরে উপস্থিত হও।" (সূরা রূম ৩০:১৭-১৮)
এই আয়াতে "দুপুরে উপস্থিত হওয়া" বলতে যোহরের নামাজের সময়কে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, যোহরের নামাজ আল্লাহর স্মরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) যোহরের নামাজের বিশেষ মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,"যে ব্যক্তি যোহরের নামাজ আদায় করার আগে ও পরে চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেন।"(তিরমিজি, আবু দাউদ)
আরও পড়ুন : আ.লীগকে যা বললেন মমতা
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"ফেরেশতারা দিন ও রাতের পালা বদল করেন। তারা আসরের ও ফজরের নামাজে একত্রিত হন। অতঃপর যারা রাত জেগে ইবাদত করেছিল, তাদের ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করেন। আল্লাহ জিজ্ঞাসা করেন—তোমরা আমার বান্দাদের কী অবস্থায় রেখে এসেছ? তারা বলেন, আমরা তাদের নামাজরত অবস্থায় রেখে এসেছি এবং যখন গিয়েছি, তখনও তারা নামাজরত ছিল।"(বুখারী, মুসলিম)
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে যোহরের নামাজ ছেড়ে দেয়, তার জন্য রয়েছে কঠোর সতর্কতা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,"কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। যদি নামাজ ঠিক থাকে, তবে তার অন্যান্য আমলও গ্রহণযোগ্য হবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায়, তবে তার সব আমলই বরবাদ হয়ে যাবে।" (তিরমিজি)
যোহরের নামাজের বরকত।
1. এই নামাজ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
2. নামাজের মাধ্যমে ছোট-বড় গুনাহ মাফ হয়।
3. নামাজ মানসিক চাপ কমায় এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করে।
4. যোহরের নামাজ আদায়কারীর সময়ে বরকত হয়।
5. নিয়মিত নামাজ আদায়কারীর জন্য জান্নাত ওয়াদা করা হয়েছে।
যোহরের নামাজ মুমিনের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু একটি ফরজ ইবাদতই নয়, বরং আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক দৃঢ় করার একটি মাধ্যম। নিয়মিত যোহরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করে। তাই আমাদের উচিত যথাসময়ে যোহরের নামাজ আদায় করা এবং এর ফজিলত লাভের চেষ্টা করা।
0 মন্তব্যসমূহ