২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলন শুরু করে। তারা মনে করেছিল সরকার তাদের কথা শুনবে। কিন্তু সে সময় সরকার তাদের কোন তোয়াক্কা না কোটা বহাল রাখে। পরে শিক্ষার্থীদের এই দাবি হাইকোর্ট পর্যন্ত যায়, কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেখানে কোন সন্তুষ্ট জনক রায় পায়নি।
কোটা কি?
কোটা হচ্ছে মুলত একটা জাতি কিংবা একটা দল যে বিশেষ কাজে লেগেছে। ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালীদের উপর নিশ সংশয় ভাবে হামলা করে তখন পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তখন পাকিস্তানীদের সাথে যারা যুদ্ধ করে তাদের কে মুক্তি বাহিনী বলা হতো। এরপর দেশ স্বাধীন শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি বাহিনী কে সম্মান করার জন্য কোটা চালু। এই কোটার মধ্যে যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তারা সরকারী চাকরি ও অন্যন্য সুযোগ সুবিধা পাবে।
আরো পড়ুন : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মৌলিক স্তম্ভ
কোটা নিয়ে বির্তক কেন?
যদি কোটা নিয়ে আমরা চিন্তা করি তাহলে কোটা কে সরকার এতটাই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে যাতে দেশের শিক্ষিত মেধা পিছিয়ে তাকছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা চেয়েছিল কোটা কতটা যুক্তিক সেটা নিয়ে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধান আসার জন্য এরপর সরকার কে অনেক বার বলার পর সরকারের থেকে তারা কোন সাড়া পায় নি। পরিস্থিতি যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সেখানেও কোন সমাধান পায়নি। পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয় এবং এতে পুরো দেশের শিক্ষিত যুবক যুবতী এই আন্দোলনে নেমে পড়ে।
কোটা সংস্কার কেন প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: কোটা আন্দোলনে কতজন মারা গেল
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে নিজেদের দেশকে রক্ষা করার শেখ মুজিবুর রহমান দেশে এসে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন, এরপর তিনি দেশের মুক্তিবাহিনি দের সম্মান করার জন্য তাদের জন্য কোটা সিস্টেম চালু করে। তখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ছিল দেশের সবাই এটা কে যুক্তিক বলে মনে করত, কিন্তু বর্তমান সরকার যে সকল সুবিধা মুক্তিযুদ্ধের নাতি নাতনি দের দিয়ে রেখেছেন তা মোটেও যুক্তিক বলে মনে করেছেন না সাধারণ শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন : ফরজ গোসল কেন প্রয়োজন
শিক্ষার্থীদের প্রথমে দাবি ছিল যেহেতু দেশের এক তৃতীঅংশ মেধাবী যুবক পড়াশোনা শেষে বেকার গুরে সেহেতু আমাদের অবশ্যই একটি সহজ সমাধার বের করতে হবে। কিন্তু সরকার তাদের কোন কথায় সাড়া দেয় নি,এই জন্য শিক্ষার্থী তারা তাদের দাবিকে চুড়ান্ত ভাবে নেওয়ার জন্য আন্দোলন করে। এই দিকে যখন শিক্ষার্থীদের সাথে জনগণও তাদের সমর্থন করে, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান যেমন ভারত, আমেরিকা,চীন সহ সকল দেশের জনগণ ও সরকার শিক্ষার্থীদের সমর্থন করে।
কোটা আন্দোলনে সরকারের বেহাল দশা।
২০২৪ জুলাই, এই মাসে কোটা আন্দোলন কঠর ভাবে শিক্ষার্থী নেমে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। এতে সরকারের চারদিকে থেকে বন্ধ হয়ে যায় এবং বেহাল দশায় পড়ে। এই আন্দোলনে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়, কিন্ত এই আন্দোলনে বাংলাদেশের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫০ জন শিক্ষার্থী মারা যায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুলো বলছে এই আন্দোলনে এক হাজারের উপরের বেশি শিক্ষার্থী মারা যায়।
ভাষা আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
এটা বুঝতে হলে আপনাকে ১৯৭১ সনের পাকিস্তানের পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যে যুদ্ধ হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। বর্তমান বাংলাদেশ তখনকার সময়ে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। পূর্ব পাকিস্তানে মোটামুটি যুদ্ধের আরম্ভ হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। সে সময় পাকিস্তান সরকার চেয়েছিল এই বাংলার মানুষ যেন উর্দু কথা বলুক। সে সময় সারা দেশের মানুষ সাড়া না দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাপিয়ে পড়ে এবং তারা ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করে।
0 মন্তব্যসমূহ