
বিগত দিনগুলোতে যে গরম পড়ছে তা আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। মানুষ এত পরিমাণ অতিষ্ঠ হয়েছে যা বলা বাহুল্য।
- গরম থেকে বাঁচার কি করছে জনগণ
এছাড়া তাপমাত্রা কারণে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দিয়েছে। অফিসে কোর্ট পরা নিষেধ করে করে দেওয়া হয়েছে।
এই গরম থেকে বাঁচার যেমন উপায় রয়েছে তেমনিভাবে রাসুলুল্লাহ সাঃ যে দোয়া গুলো শিখিয়েছেন সে গুলো পড়ে দোয়া করলে আপনি বাঁচতে পারবেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের যেমন সমস্যা দিয়েছেন তেমনিভাবে বাঁচার উপায় ও বলেছেন।
আল্লাহর রাসুল মুসলিম উম্মাহ কে শিখিয়েছেন কিভাবে কি করতে হবে।
- গরম থেকে বাঁচতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কি করেছেন।
আরব দেশ গুলোতে যখন প্রচন্ড গরম পড়ে তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাহাবি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন,
প্রচন্ড গরমে যখন মানুষ চারদিকে হাহাকার করছিল তখন রাসুলুল্লাহ সাঃ কিছু মানুষ কে নিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলেন।
আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন।
অর্থ: হে আল্লাহ,আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।
লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল
- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
অর্থ: হে আল্লাহ,অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
জাহান্নামের এক স্থান যখন অন্য স্থান কে খাওয়া শুরু করে।তখন জাহান্নাম আল্লাহ তায়ালা কাছে আরশ করে।হে আল্লাহ আমার একটি অংশ আরেটি অংশকে খাওয়া শুরু করেছে,তখন আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম কে দুইটি নিঃশ্বাস ছাড়া অনুমতি দেয়।
তখন জাহান্নাম দুইটি নিঃশ্বাস ছাড়ে একটি হলো গরমে আর আরেকটি হলো শীতে।
- গরম কে আল্লাহ তায়ালা ক্রোধ ও বলা হয়েছে
মানুষ অনবরত পাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে। তাই অনেকে বলে থাকেন এই গরম হলো আল্লাহ তায়ালা ক্রোধ। এছাড়া নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন ;জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে।
হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে।মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন।মূলত এই নিঃশ্বাস ফেলার কারণে এত গরম পড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ