Comment

কি হতে চলেছে ১৫ ই আগষ্ট? কি চায় আওয়ামী লীগ



গত জুলাই মাসে ছাত্র কোটা আন্দোলন ঘীরে সারা দেশে যখন আন্দোলন শুরু সরকার তাদের দাবি মানতে না পারার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। 

আরো পড়ুন : অন্তবর্তীকালিন সরকার কীভাবে গঠন করা হবে

জুলাই মাসের প্রথম শুরু হয় কোটা আন্দোলন এর মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা চীন সফর শেষে দেশে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কোন আলোচনা না করে তাদের কে উল্টো উসকানিমূলক কথা বলে, যার ফলে আন্দোলন আরো ঘাড় হয়। পুরো দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই যুদ্ধে যাপিয়ে পড়ে। এরপরও সরকার তাদের সহানুভূতি দেখালে তারা বলে,এতরক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা চাই এরপরই শিক্ষার্থীরা এক দফা এক দাবি সরকারের পদত্যাগ দাবি করে।

সরকার প্রধান অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে। সজীব ওয়াজেদ শেখ হাসিনার পুত্র বলে তার মা শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের বৈধ্য প্রধানমন্ত্রী তিনি পদত্যাগ করেনি। সজিব ওয়াজেদ জয় বলে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের মৃত্যু বার্ষিক পালন করতে চায়। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য কি সমন্বয় ছাত্র জনতা সেটা বুঝতে পারছে।

এত কিছুর মধ্যে যখন একটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে তখনই আওয়ামী লীগ ১৫ই আগষ্ঠ শোক সভার ডাক দিয়েছেন। তাদেই এই শোক আসলে কি করতে চাচ্ছে সেটা বুঝার চেষ্টা করছে সচেতন মহল।

আরো পড়ুন : বৃষ্টি উপকার ও ক্ষতি 

সাদিকুর রহমান খান বলেন,১৫ আগস্টে প্রতিবিপ্লবের সমস্ত প্রস্তুতি আওয়ামীলীগ সম্পন্ন করেছে। সজীব ওয়াজদ জয়, বাহাউদ্দিন নাছিম, সালমান এফ রহমান সহ ৫ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্দিরে মন্দিরে হামলা করার। 

ওদিকে আওয়ামীলীগ ২.০ চলে যাবে ধানমন্ডি। আর সংখ্যালঘু "নির্যাতনের" প্রতিবাদে শাহবাগে নেমে আসবে ঢাকা দক্ষিণ এর নেতাকর্মীরা। 

সারা দেশে ভালো ধরণের একটা শোডাউন দিতে পারলে শেখ হাসিনা দেশে আসার সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রশাসন তো তার হাতেই আছে। সজীব ওয়াজেদ জয় এইজন্যই বারবার বলতেছেন তার মা এখনও প্রধানমন্ত্রী। 

সমস্যা হলো, এই প্রতি বিপ্লব প্রতিরোধে বিরোধী দলগুলোর প্রিপারেশান কী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ