Comment

রমজানে গুনাহ ও ক্ষমা পাওয়া আমল।

পবিত্র রমজান হলো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন থেকে ক্ষমা চাওয়ার মাস এই মুসলিম উম্মতের জন্য রহমত সরুপ।


বর্ণিত যে ব্যাক্তি আল্লাহ তায়ালার দরবারে এই মাসে ক্ষমা নিতে পারে না তার মতো অভাগা আর কেউ হতে পারে না। 

কেননা এই মাস আল্লাহ তায়ালা পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।


  • রমজানে কখন মাপ চাইবেন। 

মাহে রমজান কে আল্লাহ তায়ালা তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন যে রহমত, নাযাত,মাগফিরাত।


এই তিনি টি সময়ের মধ্যে আপনি যে কোন সময়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহ ক্ষমা চাইতে পারেন,


যে ব্যাক্তি এই তিন টি সময়ের মধ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চাইতে পারে না তার চেয়ে অসহায় আর কেউ হলো না।

এই মাহে রমজানে আমাদের সঙ্গে ইফতার করা লোক গুলো হয়ত আগামী রমজান থাকতে পারবে না।


আল্লাহ কখন ক্ষমা করেন 

  • আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন। তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমার দিকে ছুটে যাও।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৩)

তওবার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা কাছে ক্ষমা পাওয়া যায়।

তওবা ছাড়াও আল্লাহ তায়ালা আমাদের অনেক সময় ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।


  • রমজান ছাড়াও ক্ষমা পাওয়া যায়। 

-যেমন নামাজের মধ্যে, সিজদাহ,মসজিদে, বিশেষ করে পবিত্র রমজানে, তাই আমাদের কে অবশ্যই আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।


রমজানে রোজা রাখলে আমাদের গুনাহ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করেন।

 

এর থেকে বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা কত মহান ।


  • রমজান নিয়ে হাদিস সমূহ 

হাদিসে আছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন,


  • যে ব্যক্তি ঈমানসহ পূণ্যের আশায় রমজানের রোজা পালন করে, তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি হাদিস : ৩৮)


মনে করেন আপনি কোন কারণে রোজা রাখতে পারেননি।

যে কোন সমস্যা হতে পারে, হতে পারে আপনার পরিবারের কোন সমস্যা যেমন কেউ মারা গেল কিংবা কেউ মারাত্মক অসুস্থ অথবা আপনি নিজে কোন সমস্যায় আছেন।

এই অবস্থা আপনি যদি রোজা না রাখেন তাহলে আপনাকে একটি রোজার বদলে ৬০ টি রোজা রাখতে হবে।

কারণ মাহে রমজান প্রত্যেকটি মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়ে হয়েছে।

যদি আপনি তাও না পারেন, তাহলে আপনি রাত জেগে নামাজ পড়তে পারেন ।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন,

  • যে ব্যক্তি রমজানের রাতে ঈমানসহ পূণ্যের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ৩৭)


মনে করেন আপনি এই সবও পারলেন না। তাহলে আপনার জন্য আরো সুযোগ রয়েছে।

সেটি হলো লাই লাতুল কদরের রাত এই রাতে আপনি আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে নিশ্চয়ই ক্ষমা করবে, ইনশাআল্লাহ।

তবে লাই লাতুল কদরের রাত কখন হবে সেটা নিশ্চিত নয়,

বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন তোমার লাই লাতুল কদর যদি তালাশ করতে চাও তাহলে রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে বিজোড় গুলোর মধ্যে তালাশ কর। 


  • যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে, সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরের রাত জেগে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ২০১৪)


আপনি এত সুযোগ থাকার পর আপনি আল্লাহ তায়ালা কাছে আপনার গুনাহ ক্ষমা চাইতে পারলেন না।

তাহলে বুঝে নেওয়া যায় আপনার মতো দূর্ভাগা এই দুনিয়ায় আর নেই রাসুল সাঃ বলেন।

যে ব্যাক্তির এই রমজান পেয়ে নিজের গুনাহ ক্ষমা করে নিতে পারলো তার রাসুলের অভিশাপ 

  • হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, সে ব্যাক্তির উপর আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর অভিশাপ রয়েছে। যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গোনাহ ক্ষমা করাতে পারেনি। (মুসনাদে আহমাদ হাদিস : ৭৪৫১)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ